eaibanglai
Homeএই বাংলায়দুর্গাপুরের বেনাচিতিতে পুলিশের 'দাদাগিরি'

দুর্গাপুরের বেনাচিতিতে পুলিশের ‘দাদাগিরি’

নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ- রবিবার সকালে এক বাইক চালককে মারধরের অভিযোগ উঠল পুলিশের গাড়ির চালক ও এক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় বেনাচিতি বাজারে। পুলিশের ‘দাদাগিরি’র বিরূদ্ধে সরব হয় আট থেকে আশি সকলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এদিন সকালে বেনাচিতি বাজারে বাইকের কাগজপত্র পরীক্ষা করছিলেন পুলিশকর্মীরা। সেই সময় রাস্তা দিয়ে বাইক নিয়ে যাচ্ছিলেন উত্তম রুইদাস নামে এক ব্যক্তি। পুলিশের গাড়ির অস্থায়ী চালক উত্তমের বাইক আটক করে কাগজপত্র দেখতে চান। অভিযোগ, বাইকের কাগজপত্র সঠিক থাকা সত্ত্বেও উত্তমের কাছ থেকে পাঁচশো টাকা দাবি করে চালক। উত্তম টাকা দিতে অস্বীকার করে। এরপর ওই চালক ও এক পুলিশ কর্মী উত্তমের ওপর চড়াও হয়ে তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। টেনে হিঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে তোলার চেষ্টা করা হয় উত্তমকে। সেসময় নিজের মোবাইলে সে ছবি তোলার চেষ্টা করলে তাঁর মোবাইল পুলিশ কেড়ে নেয় এবং গাড়ীতে কর্তব্যরত এক অফিসারও উত্তমকে মারধোর করেন বলে অভিযোগ। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয় পথচলতি মানুষ ও ব্যাবসায়ীরা। পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় পুলিশের গাড়ির চালক। আহত উত্তম রুইদাসকে নিয়ে পথ অবরোধ শুরু করে দেয় আমজনতা। মুহুর্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বেনাচিতি বাজারে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই এলাকায় হামেশাই পুলিশের গাড়ী বাইক আরোহী, গাড়ী চালকদের কাগজপত্র দেখার নামে হেনস্থা করে থাকে।

অবশেষে দুর্গাপুর থানার ওসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আহত উত্তম রুইদাসের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন ওসি এবং দোষী গাড়ীচালকের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে ক্ষোভ শান্ত হয়। ঘটনার জেরে প্রায় দেড় ঘন্টা অবরূদ্ধ হয়ে পড়ে বেনাচিতি এলাকা। এই ঘটনা সম্পর্কে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি পূর্ব অভিষেক গুপ্ত জানান, “একটি গন্ডগোলের অভিযোগ পেয়েছি। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে আসল ঘটনা কি হয়েছিল। দোষী ব্যক্তিকে অবিলম্বে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।”

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments