সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (তারকেশ্বর): করুণাময়ী রানী রাসমণি ধারাবাহিকের রামকৃষ্ণ নামেই তাকে এখনও মানুষ চেনেন,যদিও এই ধারাবাহিকের পরেও নিম ফুলের মধুতে খল নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি এবং বর্তমানে স্টার জলসার সদ্য আসা ধারাবাহিক বঁধুয়াতেও রঙ্গন নামের একটি চরিত্র করছেন তিনি। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে রামকৃষ্ণ খ্যাত জনপ্রিয় অভিনেতা সৌরভ সাহা মুখ খুললেন আমাদের প্রতিনিধি সঙ্গীতা চৌধুরীর কাছে।
১। নিম ফুলের মধুর চন্দনের পর বঁধুয়ার রঙ্গন- দর্শক কিন্তু আরো ভালো চরিত্রে আপনাকে এক্সপেক্ট করে…
সৌরভ সাহা: দর্শকদের আমি সব সময় অনেক ভালো কাজ দিতে চাই, কিন্তু যেহেতু আমি একজন অভিনেতা সেই কারণে সেরকম ভালো কাজের অফার আসাটা সব সময় আমার উপর নির্ভর করে না। একজন অভিনেতা হিসেবে আমি সব সময় চেষ্টা করি নতুন ধরনের চরিত্র করার।
২। স্টার জলসার নতুন একটি ধারাবাহিক আসছে ভক্তির সাগর নামে, শোনা যাচ্ছে এই ধারাবাহিকে বড় রামকৃষ্ণের চরিত্রে আপনাকে দেখা যেতে পারে এই খবরের সত্যতা কতটা? এটা কি পুরোটাই গুজব?
সৌরভ সাহা: আমার কাছে তো গুজব। কারণ আমার কাছে এরকম কোন কাজের অফার এখনো আসে নি, আর আমার কাছে এরকম কোন নিউজ ও নেই যে সুরিন্দর এরকম একটা কাজ করছেন এবং সেখানে আমাকে ভাবা হতে পারে বা পারে না, তবে এরকম যদি কোন কাজ আসে তবে আমার নিশ্চয়ই প্রার্থনা থাকবে সেই কাজ যেন ভালো হয়। কারণ ঠাকুর , মা, স্বামীজি কে নিয়ে তৈরি কাজ-সেটা যাকে নিয়েই হোক না কেন, কাজটা ভালো হওয়া উচিত।
৩। চন্দনের মত একটা খল চরিত্র করবার পরেও বার বার দর্শক আপনাকে রামকৃষ্ণের মত চরিত্র ফিরে পেতে চাইছেন, কোথাও গিয়ে কি মনে হচ্ছে আপনি টাইপ কাস্ট হয়ে যাচ্ছেন?
সৌরভ সাহা: দেখুন টাইপকাস্ট তো সবাই আর সেটা তো হয়। যেমন আফটার রামকৃষ্ণ অনেক চ্যানেল থেকেই আমার কাছে রামকৃষ্ণ চরিত্রের জন্য প্রস্তাব এসেছে কিন্তু আমি সেগুলো করতে চাই নি। কারণ আমার কোথাও গিয়ে মনে হয়েছিলো একটা চরিত্র করার পরে সেই চরিত্রটাই অন্য চ্যানেলে একইভাবে রিপিট করা সেটা দর্শকের কাছে হয়তো ভালো নাও লাগতে পারে , তার থেকে আমি অপেক্ষা করতে চেয়েছিলাম এবং আমার চেহারাটাকে একটু অন্য রকম করতে চেয়েছি যেখানে দাঁড়িয়ে নিম ফুলের মধুতে চরিত্রটি যখন করি তখন রামকৃষ্ণের লুকের সাথে একটা ডিফারেন্ট তৈরি হয়ে ছিলো আমার লুকে। যারা দেখেছেন তারা এই ডিফারেন্ট টা বুঝেছেন।
৪। ধরুন ভক্তির সাগর রামকৃষ্ণের জন্য আপনি আবার অফার পেলেন সেক্ষেত্রে আপনার কি মনে হয় নতুন করে নিজেকে এক্সপ্লোর করার আরো কিছু রয়ে গেছে?
সৌরভ সাহা: যদি আমার মনে হয় যে চরিত্রটা আবার আমার করা উচিত আর যদি আমি চরিত্রটা আবার করি তখন সবার আগে আমি দেখবো কোন গল্প নিয়ে তারা ভাবছে,সেটা জি বাংলা রানী রাসমণি দেখিয়েছে কিনা কারণ রানী রাসমণিতে ও রামকৃষ্ণের জীবনের একটা পার্ট দেখানো হয়েছে,তবে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জীবনের তো আরো অনেক জার্নি ছিলো, যে গুলো দেখানো হয় নি। সেরকম যদি কিছু দেখানো হয় আর যদি নির্মাতাদের মনে হয় যে সেই বিষয়গুলো আমি করতে পারি ভালো করে তখন আমিও ভেবে দেখব যে নতুন করে কিছু করা যায় কিনা।
৫। অনেকেই বলছেন ধারাবাহিক নারীকেন্দ্রিক হলে সেটি হিট হয় অনেকের বক্তব্য করুণাময়ী রানী রাসমণি যেমন রাসমনির জীবন কেন্দ্রিক হয়েছে তেমনি রামকৃষ্ণের নতুন জীবনী এলে সেখানেও যেন প্রথম থেকে সারদামায়ের জীবনে ফোকাস করে দেখানো হয়- আপনার কি এটা ঠিক মনে হয়?
সৌরভ সাহা: হতেই পারে। দেখুন দর্শক যদি কিছু ভেবে থাকেন তাদের ভাবনার পিছনে নিশ্চয়ই যুক্তি আছে কারণ এটা তো ঠিক বর্তমানে নারীকেন্দ্রিক ধারাবাহিকই বেশি চলছে। আবার এটাও একটা ব্যাপার যে, টেলিভিশনের সিংহভাগ দর্শক হচ্ছেন নারী, তাই তারা যখন কোথাও গিয়ে কোনো চরিত্রের সাথে তাদের জীবনটা রিলেট করতে পারেন, তখন সেটা হিট হয়।
৬। আচ্ছা টেলিভিশন জগতে কাজ করার ক্ষেত্রে বা চরিত্র সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে কখনো কি কম্প্রোমাইজ করেছেন?
সৌরভ সাহা: নিশ্চয়ই একশোবার। চরিত্র বাছার ক্ষেত্রে অবশ্যই কম্প্রোমাইজ করেছি কারণ সবসময় আমার ইমাজিনশনের সাথে চরিত্রটা শেষমেষ মেলে নি। হয়তো আমি ভেবেছি চরিত্রটাকে এমনভাবে শেড দেবো কিন্তু বাস্তবে দেখা গেলো শেষমেষ চরিত্রটা ওই জায়গায় গেল না। আসলে টিভি সিরিয়াল এমন একটা মাধ্যম না যেখানে অভিনেতার হাতে সবটুকু থাকে না, যে পরিচালক কাজ করছেন, যারা নির্মাতা তাদের ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। সে ক্ষেত্রে অনেকবার অনেক সময় চরিত্র বাছা ভুল হয়ে যায়,তবে সব সময় যে জেনে বুঝে আমরা ভুল করি তা কিন্তু নয় অনেক সময় দেখা যায় হয়তো চরিত্রটিকে বাড়ানো যেত আরো বেশি কিন্তু সেই সময়টাই পাওয়া গেল না।
৭। ‘করুণাময়ী রানী রাসমনির শেষটা বড্ড বেশি তাড়াহুড়ো করে হলো’-এমন বক্তব্য ছিলো সিংহভাগ দর্শকের এই প্রসঙ্গে আপনি কী বলবেন?
সৌরভ সাহা: রাসমণি এমন একটা ধারাবাহিক ছিলো যেটা আরো কিছুটা সময় চললে অনেক মানুষ দেখতো কিন্তু এক্ষেত্রে একটা সমস্যা তৈরি হয়ে গিয়েছিলো সেটা হল করোনা। করোনার পর একটা আর্থিক সমস্যা যেমন তৈরি হয়েছিলো, তেমনি শুটিং এর ক্ষেত্রেও একটা সমস্যা হয়ে ছিলো কারণ সেই সময় প্রচুর মানুষ একসাথে শুটিং করতে পারতেন না, আবার করোনা কখন ফিরে আসবে এই বিষয়ে একটা ভয় তৈরি হয়ে ছিলো। দক্ষিণেশ্বরে রামকৃষ্ণকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা তৈরি হয়েছিলো, সেই ঘটনাগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে গেলে অনেকগুলো চরিত্রকে নিয়ে আসতে হতো সেটা যথেষ্ট ব্যয়বহুল ছিলো কিন্তু করোনার পরে বোঝাই যাচ্ছিল না,পরিস্থিতি ঠিক কোন দিকে এগোবে! এই চরিত্রগুলোকে আনার পর আদৌ শুটিং আবার করা যাবে কিনা, আদৌ করোনা ফিরে আসবে কিনা এই পরিস্থিতি গুলো তৈরি হয়েছিলো, যে কারণে আমার মনে হয় যে করুণাময়ী রানী রাসমণি সেই মুহূর্তে বন্ধ করা ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না। তবে করোনা এবং এই জাতীয় রেস্ট্রিকশনগুলো যদি না আসতো তাহলে হয়তো রানী রাসমণি আরো দুই বছর চলতো। কারণ প্রতিটা চরিত্রই ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলো।
৮। ঠাকুর চরিত্রের সাথে আপনার চেহারার একটা অদ্ভুত সাদৃশ্য ছিলো যে কারণেও রাসমণি হিট হয়েছিলো
সৌরভ সাহা: চেহারার সাদৃশ্য কতটা আছে জানি না, কিছুটা হয়তো আছে তবে ভালো করে ঠাকুরের ছবি এবং আমার ছবি পাশাপাশি দেখলে বোঝা যায় ঠিক চেহারার সাদৃশ্য নয়,দুটো চেহারা আলাদা। কিছুটা মেকাপের কামাল আর কিছুটা এক্সপ্রেশন । আসলে এই রামকৃষ্ণ চরিত্র করার আগেও আমি দুই বার রামকৃষ্ণ চরিত্র করেছি সেখানে দেবী হালদার নামের একজন স্বনামধন্য মেকআপ আর্টিস্ট ছিলেন তিনি এই রামকৃষ্ণ চরিত্রের ছোট ছোট ডিটেলিং আমাকে শিখিয়েছিলেন। তারপর যখন আমি এই ধারাবাহিক করতে আসি তখন সেই ডিটেলিংগুলো আমি আমার মেকআপ আর্টিস্ট রবিন দা কে বলে দিয়েছিলাম আর আমি ঠাকুরের ছবিগুলো খুব দেখতাম, দেখে বুঝবার চেষ্টা করতাম, ঠিক কোন কোন মুদ্রা কাজে লাগালে মনে হবে, ঠাকুরের এক্সপ্রেশনের কাছাকাছি হয়েছে। তার সাথে যখন আমি দাড়ি রাখলাম এবং দাড়িটা যখন একটা শেপ নিল তখন দেখলাম মোটামুটি একটা লুক ক্রিয়েট হয়েছে,তার সাথে মেকআপ টা তো বললাম,তার সাথে এক্সপ্রেশন সমস্ত কিছু মিলিয়ে মিশিয়ে অদ্ভুত ভাবে কিছুটা ঠাকুরের মতোই আমাকে দেখতে লাগতো। যদি দুটো ছবি পাশাপাশি দেখেন, তাহলে মনে হবে অনেকটা এক, এরপর আপনি আমার চেহারার থেকে দাড়িটা, চুলটা, মেকআপটা সরাতে থাকলে বুঝবেন দুটো মুখের মধ্যে কোনো মিল নেই। কয়েকটা জিনিসের মধ্যে আমি খালি মিল রেখেছিলাম, ঠাকুরের ওই যে হাসিটা ছিলো অর্ধেক হাসি , সেই হাসিটা দেখে ভাবতাম এই মানুষটা যদি পুরোপুরি হাসতো তাহলে কীভাবে হাসতো, এই ব্যাপারগুলো একজন অভিনেতা হিসেবে চেষ্টা করেছিলাম, এই বিষয়গুলো দেখে দর্শকের কোথাও মনে হয়েছে দুটো চেহারা এক।
৯। অনেকেই বলেন রামকৃষ্ণের উপর তো অনেক কাজ হয়েছে কিন্তু রামকৃষ্ণ বাদ দিয়ে যদি অন্য কোনো সাধক বামাক্ষ্যাপা,রামপ্রসাদ বা কমলাকান্ত এরকম কোনো চরিত্রের জন্য যদি আপনাকে ভাবা হয় সে ক্ষেত্রেও কি মেকআপ বা চেহারার আদলের মিল প্রচলিত কয়েকটি মুদ্রার প্রয়োগ এতটাই কাজ করবে বলতে চাইছেন?
সৌরভ সাহা:না,না, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ক্ষেত্রে যতটা করবে অন্যান্য ক্ষেত্রে কিন্তু ততটা করবে না। কারণ রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব যতটা পরিচিত চরিত্র, অনান্য গুলো ততটা করবে না। কারণ রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব যতটা বাঙালি সমাজে পরিচিত চরিত্র, অন্যান্য গুলো ততটা নয়, ধরুন আপনাকে যদি বলি চোখ বুঝে রামপ্রসাদ বা বামাক্ষ্যাপা, কমলাকান্তের একটা ছবির কথা মনে করুন তো, আপনি মনে করতে পারবেন না। কিন্তু রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ক্ষেত্রে সেটা সহজ, কারণ রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব আমাদের এত দেখা, সেই ক্ষেত্রে এই সুবিধা গুলো ছিলো আর কি।
১০। সুবিধা যেমন ছিলো তেমন তো রিক্স ও ছিলো?
সৌরভ সাহা: আসলে কি জানেন তো আমি জানতাম রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সাথে আমার চেহারার মিলের যে ব্যাপারটা সেটা হয়তো একটা বা দুটো এপিসোডে দেখাবে অন্য সব এপিসোডে কিন্তু মানুষ আমার অভিনয়টাই দেখবে। যেমন ধরুন স্বামী বিবেকানন্দের মতো হুবহু মুখ আমরা অনেক নাটক, অনেক সিরিয়াল, থিয়েটারে দেখেছি, কিন্তু সেগুলো কি ভীষণ জনপ্রিয় হয়েছে? কিন্তু এমন একটা মুখ সে হয়তো স্বামীজীর মতো দেখতেই নয়,কিন্তু তার অভিনয়টা মানুষের মনে দাগ কেটে গেছে। ধরুন নেতাজি সুভাষের একটি চরিত্র এলো, কিন্তু যে করছেন তিনি নেতাজি সুভাষের মতো দেখতেই নয়, কিন্তু সে তার অভিনয় দিয়ে ছুঁয়ে নেবে।
১১। কিন্তু মানুষ আজ রামকৃষ্ণ দেবকে ভাবলে আপনার মুখটাই মনে পড়ে!
সৌরভ সাহা: আসলে চরিত্র করতে গিয়ে কি হয় একটা ছাপ পড়ে যায়, মানুষ হয়ত রামকৃষ্ণকে ভাবতে গেলে এখন আমার মুখটা ভেবে বসবেন, কিন্তু তার মানে এমনটা নয় যে, আমাকে ঠাকুরের মতো দেখতে। যেমন ধরুন যীশু দাকে দেখলেই আমরা মনে করি চৈতন্য। আসল চৈতন্য কে দেখতে কেমন ছিল সেটা ভুলেই গেছি। অভিনয়টা যে আমিই এমন করেছি তাও বলবো না, আসলে ঠাকুর আমাকে দিয়ে অভিনয়টা করিয়ে নিয়েছেন, আমি করার কে!
১২। ইন্ড্রাস্ট্রিতে একজন ভালো অভিনেতা ও ব্যাড লাকের জন্য জিরো হয়ে যেতে পারে, আবার অনেকে বলেন অভিনয় ক্ষমতা থাকলে লাকটা কোন কাজের কথা নয়, একদল লাক ফ্যাক্টরকে গুরুত্ব দেন একদল দেন না, আপনি কী মনে করেন লাক ফ্যাক্টরকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত? আপনি কোনটাতে বিশ্বাস করেন
সৌরভ সাহা:লাক ফ্যাক্টরকে অবশ্যই গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আমি দুটোই বিশ্বাস করি। লাক আপনাকে সেই সমস্ত মানুষের কাছে ফেভারিট করে তুলবে যারা আপনাকে কাজের সুযোগ দেবে, আবার খুব ভালো অভিনেতা কিন্তু ব্যাডলাকের কারণে হয়তো সেই সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে পারবে না বা হয়তো সেই সুযোগগুলো পাবে না। এর কোন না ডিরেক্ট সংজ্ঞা হয় না। আসলে জনপ্রিয়তা পাওয়া আর ভালো অভিনেতা হওয়া দুটো তো এক নয়, একজন ভালো অভিনেতা সব সময় ভালো অভিনেতা, স্টেজে আমি সব সময় এমন অনেক মানুষের সাথে কাজ করি যারা দুর্দান্ত ভালো অভিনেতা, কিন্তু জনপ্রিয় নয়। এমন নয় জনপ্রিয়তা পেয়েছে মানেই সে দুর্দান্ত অভিনেতা আর জনপ্রিয় নয় মানেই সে খারাপ অভিনেতা, এমনটা হতে পারে না। একজন খারাপ অভিনেতাকেও দেখি দিনের পর দিন কাজ করে যাচ্ছে, আবার যে ভালো অভিনেতা যার আরো ভালো জায়গায় পৌঁছানো উচিত ছিলো, নানান কারণবশত সে দর্শকের কাছে ততটা ভালো ভাবে পৌঁছাচ্ছে না।
১৩। অভিনেতাদের ক্ষেত্রে ইগো ফ্যাক্টরটা ভীষণভাবে কাজ করে, কিন্তু আপনি সবসময় এত ডাউন টু আর্থ থাকেন কীভাবে? নাকি এটা রামকৃষ্ণ চরিত্র করার আফটার এফেক্ট?
সৌরভ সাহা: দেখুন আমি রামকৃষ্ণ মিশনে পড়েছি, যাদের সাথে পড়েছি তাদের যদি আপনি দেখেন তাহলে আপনার আমার ইন্টারভিউ না নিয়ে তাদের ই ইন্টারভিউ নিতে মন চাইবে, কারণ ভারতবর্ষে যতগুলো বড় বড় কোম্পানি আছে সেই সমস্ত বড় বড় কোম্পানির একদম ম্যানেজমেন্ট লেভেলে তারা বসে আছে,তারা উইকেন্ডে হোক বা মাসে এক-আধবার আমার সাথে আড্ডা মারে,ওদের আমি দেখেছি,ওরা সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে গিয়েও যদি নির্অহংকার থাকতে পারে তাহলে আমি কেন পারবো না? এছাড়া আমার পরিবার আমার বাবা, কাকা তারা প্রত্যেকেই ভালো পজিশন হোল্ড করেন, তাদের দেখেই ইগোলেস হওয়া শিখেছি। কীসের ইগো? যখন চলে যাবো! কে কবে যাবো তাও জানিনা, যখন চলে যাবো তখন কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে যাবো।
![](https://eaibanglai.com/wp-content/uploads/2024/04/add-01-sanaka-1024x576.gif)
![](https://eaibanglai.com/wp-content/uploads/2024/04/addnew-bidhan-1024x576.gif)
![](https://eaibanglai.com/wp-content/uploads/2024/04/add-04-avishkar-1024x576.gif)
![](https://eaibanglai.com/wp-content/uploads/2024/04/add-03-ojashotel-1024x576.gif)
![](https://eaibanglai.com/wp-content/uploads/2024/04/add-05-astor-1024x576.gif)
![](https://eaibanglai.com/wp-content/uploads/2024/04/add-06-govindo-1-1024x576.gif)