সঙ্গীতা চৌধুরী: – কথায় বলে বিশ্বাসে মেলায় কৃষ্ণ,তর্কে বহুদূর- আপনি যদি বিশ্বাস করেন পরমেশ্বর ভগবান আপনার হৃদয়ে রয়েছেন তবে আপনি তাকে লাভ করতে পারেন। কিন্তু তর্ক করে, বই পড়ে, গ্রন্থের সাহায্যে তাকে পেতে গেলে হয়তো এ জীবনে তাকে আর পাওয়া হয়ে উঠবে না। আমাদের জীবনে সত্যিই বিশ্বাস করা এবং না করার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে,জ্যোতিষটাও ঠিক তাই।
জ্যোতিষচর্চায় জ্যোতিষবিদদের গণনা অনুযায়ী অনেক সময়, অনেক খারাপ সময়ের আগে পূর্ব ইঙ্গিত পাওয়া যায়। যেমন সম্প্রতি জ্যোতিষবিদদের কথা অনুযায়ী,আগামী ১৫ই মার্চ সন্ধ্যা ৬:২০ মিনিট থেকে
২৩ শে এপ্রিল সকাল ৮:৫০ মিনিট অবধি গোটা বিশ্ব একটা খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে চলেছে। আসলে এই সময় মঙ্গল গ্রহ কুম্ভ রাশিতে ধনিষ্ঠা নক্ষত্রে প্রবেশ করে শতভিষা নক্ষত্রে অবস্থিত শনি গ্রহের সাথে সংযোগ স্থাপন করবে আর এই সংযোগ স্থাপনের ফলে গোটা বিশ্বজুড়ে কোনো বড় বিপর্যয়, দুর্ঘটনা ঘটতে চলেছে। জ্যোতিষ বিদদের মতে এই সময় ঝগড়া, অশান্তি, দুর্ঘটনা, অপারেশন, রক্তপাত, বায়ু পথে বিপর্যয়, ভূমিকম্প, কলকারখানায় আগুন, বিস্ফোরণ,গতিশীল রেলপথে দুর্ঘটনা, আগ্নেয়গিরির সক্রিয় হওয়া এবং বহু মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এখন গোটা বিশ্বব্যাপী এই সমস্যা সৃষ্টি হলেও যাদের শনি ও মঙ্গলের মহা দশা , অন্তর্দশা চলছে, যাদের শনির ঢাইয়া ও শনির সাড়েসাতি চলছে, যাদের জন্মছকে শনি, মঙ্গল পীড়িত ভাবে অবস্থান করছে তাদের বিশেষভাবে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে কারণ তাদের ক্ষেত্রে সমস্যাটা বেশি ভাবে দেখা দিতে পারে। এখন এই বিপর্যয়ের হাত থেকে নিজেদের কীভাবে রক্ষা করবেন? এই বিষয়ে আমরা শরণাপন্ন হয়েছিলাম জ্যোতিষ শ্রী পঙ্কজ শাস্ত্রীর কাছে। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কতগুলো উপায় মেনে চললে প্রতিকার হওয়া সম্ভব।
উপায়-
১। আহারে বদল:- শনি ও মঙ্গলবার নিরামিষ আহার করুন।
২। পুজো:- দক্ষিণা কালী ও হনুমানজির পুজো করুন।
৩। পাঠ:- রোজ হনুমান চল্লিশা পাঠ করুন।
৪। কালার থেরাপি:- লাল ও নীল রং ব্যবহার করবেন না।
৫। খাওয়ানো:-নিজের সাধ্য মতো সবাইকে দুধ চা করে খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।