eaibanglai
Homeএই বাংলায়রাজু ঝা খুনে বিহারের হাজীপুর থেকে নতুন তথ্য পুলিশের হাতে

রাজু ঝা খুনে বিহারের হাজীপুর থেকে নতুন তথ্য পুলিশের হাতে

সংবাদদাতা, বর্ধমান : মূল চক্রি এখনো অধরা, তবে রাজু ঝা খুনের ছ মাসের মাথায় তৎপর বর্ধমান পুলিশ খুনিদের পালানোর সময় ব্যাবহার করা সেই সাদা গাড়িটির খোঁজ পেল অবশেষে। বিহারের হাজীপুরে। খুনের পর একটি নীল ব্যালেনো গাড়ি ইছেকোরেই পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্য ফেলে গিয়েছিল আততায়ীরা, তাই শক্তিগড় রেল স্টেশনের পাস থেকে সহজেই বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ, আর এই সাদা গাড়িটির খোঁজ পেল ছ’মাস পর। তাও আবার শার্প শুটারদের পান্ডা কুন্দন যাদবকে ডাকাতি করে পালানোর সময় নাদিয়ার রানাঘাট থানা গ্রেফতার করার দারুন জানা গেলো এই কুন্দনই ছিল গুলি চালানোর পান্ডা। তার সাথে ছিল আরো দুই দুষ্কৃতী।

বর্ধমানের শক্তিগড়ে গত ১ এপ্রিল সন্ধ্যায় আততায়ীর মুহুর্মুহু গুলিতে গাড়িতে বসে থাকা অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে কয়লা কারবারের মাফিয়া ডন রাজেশ ঝা। আন্তর্জাতিক গরুপাচার চক্রের পান্ডা আব্দুল লতিফ সেখ ও নিজের পার্শ্বচর ব্রতীন মুখোপাধ্যায়কে সাথে নিয়ে জাতীয় সড়ক ধরে কলকাতার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল রাজেশ ওরফে রাজু। তখনই কুন্দনদের বুলেট ঝাঁজরা হয়ে হাসপাতালে যাওয়ার আগেই খতম হয়ে যায় রাজু।

এদিকে, ধৃত কুন্দন যাদবকে হেফাজতে নিয়ে সাদা রঙের ব্রেজা গাড়িটি উদ্ধার করেছে বর্ধমান পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল সিট। কুন্দনকে নিয়ে গত ২৬ অক্টোবর বিহারের হাজিপুরে যায় সিট। সেখান থেকে ব্রেজা গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। সেটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রাজুকে খুনের পর খুনিরা ব্রেজা গাড়িটি চেপে বিহারে পালিয়ে যায়। পরবর্তীকালে গাড়িটির নম্বর প্লেট বদল করা হয়। হেফাজতে থাকাকালীন কুন্দনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনে জড়িত আরও কয়েকজনের নাম পেয়েছেন তদন্তকারীরা। যদিও তারা কোথায় গা ঢাকা দিয়েছে সে বিষয়ে তদন্তকারীদের কাছে কুন্দন মুখ খোলেনি। ১০ দিনের পুলিসি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এদিন কুন্দনকে ফের বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতকে আর হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় নি পুলিশ। ধৃতের হয়ে কোনও আইনজীবী এদিন দাঁড়ান নি। বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ১৩ নভেম্বর তাকে ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।

পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজু খুনে ইতিমধ্যেই ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে পুলিশ। মামলাটি পঞ্চম অতিরিক্ত দায়রা আদালতে বিচারাধীন। এরই মধ্যে গত ২৯ আগস্ট নদিয়ার রাণাঘাট থানার পুলিশ স্বর্ণবিপনিতে ডাকাতি করতে আসা কুন্দন সহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় রাজু খুনে কুন্দনের জড়িত থাকার কথা জানা যায়। এরপরই আদালতের অনুমতি নিয়ে রাজু খুনের মামলার তদন্তকারী অফিসার কুন্দনকে সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরপর তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য ১৮ অক্টোবর পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। সেই আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক। এরপর পুলিশ টিআই প্যারেডের আবেদন জানায়। আবেদনটি সিজেএম আদালতে পাঠিয়ে দেন পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক। সিজেএম তদন্তকারী অফিসারের আবেদন মঞ্জুর করার পর বর্ধমান সংশোধনাগারে কুন্দনের টিআই প্যারেড করানো হয়। টিআই প্যারেডে প্রত্যক্ষদর্শী তাকে শনাক্ত করেছেন বলে জানা গিয়েছে। টিআই প্যারেডের পর তাকে ১০ দিন হেফাজতে নেয় পুলিশ। হেফাজতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনে ব্যবহৃত ব্রেজা গাড়িটির হদিশ পায় পুলিশ।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments