eaibanglai
Homeএই বাংলায়শিক্ষকের অভাবে স্কুলে ঝুলল তালা

শিক্ষকের অভাবে স্কুলে ঝুলল তালা

সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- আবারো স্কুলে ঝুলল তালা শিক্ষকের অভাবে পঠন পাঠন বন্ধ শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে। চিন্তায় জয়পুর মহলডাঙ্গা গ্রামের শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের একশোর উপর স্কুল পড়ুয়ারা। হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী যখন পরীক্ষায় পাস করে রাস্তায় বসে দীর্ঘদিন ধরে ধর্নায়,আর ঠিক তখনি শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হচ্ছে রাজ্যের একের পর এক শিক্ষা কেন্দ্র। আবারো আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হল শিশুশিক্ষা কেন্দ্র। এমনই ছবি বাঁকুড়ার জয়পুরে।

রাজ্যে ভোট আসে ভোট যায় ভোট আসলেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ভোট চাইতে দেখা যায়। তারপরেই ভোট ফুরিয়ে গেলেই মনে রাখেনা জনতা জনার্দনের কথা, শিক্ষকের অভাবে স্কুল বন্ধ হলেও তাদের কথাই মনে রাখে না কেউ তা না হলে স্কুল বন্ধ হবে কেন? স্কুল বন্ধের তেমনই ছবি ধরা পরল বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের মহলডাঙ্গা গ্রামে। প্রায় পাঁচ ছটি গ্রামের কচিকাঁচা শিশুরা পড়তে আসছিল স্কুলে, প্রতিদিনই নিয়ম করে হতো রান্নাবান্না থেকে খাওয়া-দাওয়া ও পড়াশোনা, তাও আজ বন্ধ । পঠন পাঠন উঠলো শিখেয়, শিক্ষকের অভাবে বন্ধ স্কুল, ছিল দুটি মাত্র শিক্ষক, এক টিচার রিটায়ার করেছে আগেই, তারপরে গতকাল রিটার হলো হেডমাস্টার। আর হেডমাস্টার রিটায়ার হতেই স্কুলে পড়লো তালা। স্কুলের গেটে এসে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও স্কুলে প্রবেশ করতে পারল না বহু ছাত্র-ছাত্রী। ক্ষোভে ফেটে পরল একাধিক গ্রামের স্কুল পড়ুয়া থেকে অভিভাবকেরা। জয়পুর ব্লকের বিডিও ও পঞ্চায়েত প্রধান কে দরখাস্ত করলেও মিললো না কোন সাহায্য। তাই পঠন পাঠন বন্ধ আজ থেকে। কবে খুলবে স্কুল জানে না কেউ তবে এই বিষয় নিয়ে জয়পুর ব্লকের বিডিও দেবজ্যোতি পাত্র কে জিজ্ঞাসা করলে এই বিষয়ে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে নারাজ তবে তিনি বিষয়টি জানেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলেছেন বলে জানান।

রাজ্যে লক্ষ লক্ষ ছেলে মেয়ে উচ্চ ডিগ্রি নিয়ে পাস করে বেকার হয়ে বাড়িতে বসে রয়েছে। প্রশাসন মনে করলে ৫-৬টি গ্রামের মিলিত এই স্কুলের শিশুদের জন্য গেস্ট টিচার নিয়োগ করতে পারত, গেস্ট টিচার নিয়োগ করলে হয়তো স্কুলের গেটে তালা ঝুলতো না। তবে গ্রামবাসীদের দাবি অবিলম্বে তাদের শিশুদের কথা চিন্তা ভাবনা করে স্কুলটি দ্রুত খোলার আর্জি জানান তা না হলে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার দূরের স্কুলে যেতে হবে । তাতে করে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ হারানোর ভয় করছেন একাধিক স্কুল পড়ুয়ার অভিভাবকেরা।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments