সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী),বহরমপুরঃ- বড়দিনের সাথে সান্তা ক্লসের ধারণা ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে। বড়দিন মানেই সান্তা ক্লস আসবে আর খুদেদের আকাঙ্ক্ষিত উপহার দিয়ে যাবে। কিন্তু ২৫ শে ডিসেম্বরের সাথে সান্তা ক্লসের এই ধারণাটা কবে কীভাবে জুড়ে গেলো! আসলে চতুর্থ শতাব্দীর সময় এশিয়ার মাইনরে সেন্ট নিকোলাস বা সান্তা ক্লস নামের একজন ব্যক্তি ছিলেন যিনি অত্যন্ত দয়ালু ছিলেন। অনেক অল্প বয়সে তার মা বাবা মারা গিয়েছিলেন, তাই পরবর্তীতে তিনি যখন খুব ধনী হয়ে ওঠেন তখন তিনি গোপনে সব সময় গরীবদেরকে সহায়তা করতেন।
একবার গরীবদেরকে সহায়তা করতে গিয়েছিলেন তিনি তখন তিনি নিজের পরিচয় গোপন করবার চেষ্টা করা সত্ত্বেও তার পরিচয়ের আত্মপ্রকাশ ঘটে ছিল। সেইবার নিকোলাস একবার জানতে পেরেছিলেন যে, এক গরীবের তিনটি মেয়ে আছে কিন্তু অর্থের অভাবে তাদের কারোরই বিয়ে হচ্ছে না। একবার সেই গরীব মানুষটি তার ঘরের ছাদে মোজা মেলে দিয়েছিলেন শুকানোর জন্য, নিকোলাস গোপনে সেই মোজার মধ্যে সোনা রেখে এসেছিলেন।
এই সময় ওই গরিব মানুষটি নিকোলাস কে দেখে ফেলেন, তখন থেকেই তার পরিচয়ের আত্মপ্রকাশ ঘটে। সেই থেকেই কোথাও কোন উপহার দিলে সবাই ভাবতেন যে, সান্তা উপহার দিচ্ছেন। ইউরোপে ক্রিসমাসে বাচ্চাদেরকে উপহার দেওয়ার রীতি ছিলো তখন থেকেই নিকোলাস হয়ে উঠলেন ফাদার নিকোলাস,বরফ ঢাকা মেরু প্রদেশের বাসিন্দা তিনি। বড়দিনের আগের রাতে স্লেজ ঘোড়ায় চেপে ছুটে আসেন সান্তা আর রাতের অন্ধকারে খুদেদের ঝোলা ভরিয়ে দেন উপহারে।