eaibanglai
Homeএই বাংলায়অভিষেকের আশ্বাসে জীবন জীবীকা ফিরে পাওয়ার আশায় ওঁরা

অভিষেকের আশ্বাসে জীবন জীবীকা ফিরে পাওয়ার আশায় ওঁরা

সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ– পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জেলায় জেলায় জনসংযোগের জন্য নব জোয়ার কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূলের সবর্ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় জেলায় বিশেষত গ্রামঞ্চল গুলি ঘুরে ঘুরে কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করছেন তিনি। এরই মাঝে শুনে নিচ্ছেন স্থানীয়দের অভাব অভিযোগ। দিচ্ছেন সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও। গতকালই নব জোয়ার কর্মসূচিতে বাঁকুড়া জেলায় পৌঁছেছেন তৃণমূল সাংসদ। আর সেখানেই শাসকস দলের সেকেন্ড ইন কমাণ্ডকে কাছে পেয়ে জীবন জীবীকা ফিরে পাওয়ার কাতর আবেদন জানালেন বাঁকুড়ার শালতোড়ার পাথর শিল্পের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকরা।

প্রসঙ্গত রুখা শুখা পাথুরে মাটির দেশ বাঁকুড়ার শালতোড়ায় আজও কৃষিকাজ সম্ভব হয়ে ওঠেনি। পাথুরে এলাকা হওয়ায় জীবন জীবীকার জন্য এলাকার মানুষ নির্ভর করত এলাকার পাথর খাদানগুলির উপর। এলাকার প্রায় ৩০ হাজার পরিবারের উপার্জনের একমাত্র ভরসা ছিল পাথর শিল্প। কিন্তু গত প্রায় দু’বছর ধরে প্রশাসনিক গেঁড়াকলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে শালতোড়ার পাথর শিল্পের কাজ। যার জেরে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন প্রায় ৩০ হাজার পরিবার। কোনরকমে দুবেলা দুমুঠো ভাত জোগাড় করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে পরিবারগুলিকে। অভিযোগ বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসক থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রশাসনিক মহলে দ্বারস্থ হলেও মেলেনি কোন সুরাহা। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে শালতোড়ায় পেয়ে জীবন জীবীকা ফিরেয়ে দেওয়ার কাতর আর্জি জানালেন পাথর শিল্পের সাথে জড়িত শ্রমিকেরা। রাস্তার ধারে প্যাকার্ড হাতে শ্রমিকদের দেখে তাদের সঙ্গে গিয়ে কথা বলেন অভিষেক এবং প্রায় ২০০টির বেশি বন্ধ হয়ে যাওয়া ক্র‍্যাশার মেশিন চালু করার জন্য ৪০ দিনের সময় চান তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক।

আপাতত তাঁর আশ্বাসে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে শ্রমিকদের মধ্যে। বাঁকুড়া জেলার পাথর শিল্প কল্যাণ সমিতির সভাপতি প্রিয়দর্শী চক্রবর্তীর দাবি তিনি একশ শতাংশ আশাবাদী যে শীঘ্রই পাথর খাদানগুলির উৎপাদন চালু করার ব্যবস্থা করবেন অভিষেক। তাঁর মতে রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা হলেই এলাকার পাথর খাদান গুলি পুনরায় চালু হওয়া সম্ভব। এবং তা হলে এলাকার হাজার হাজার শ্রমিক পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার সুযোগ পারেন।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাসের পরে শ্রমিকরা চেনা ছন্দে ফেরার স্বপ্নে বিভোর হলেও আদৌ কি স্বমহিমায় ফিরবে বাঁকুড়ার শালতোড়া? এখন এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments