শুভ্রাচল চৌধুরী,বাঁকুড়া:– এবারের পুজোর ছুটিতে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চান? তাহলে ছুটি কাটাতে চলে যান বাঁকুড়ার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র শুশুনিয়ায়। সেখানে ছুটি কাটানোর পাশাপাসি মনভরে উপভোগ করুণ রাঢ় বাংলার বনেদি পরিবারের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী পুজো।
শুশুনিয়া পাহাড় থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছাতনা ব্লকের ছাতনা দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বামুনকুলি গ্রাম। এই গ্রামের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের দুর্গাপুজো প্রায় ৩১৩ বছরের পুরনো। এখনও প্রাচীন রীতিনীতি মেনে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের উদ্যোগে ও দেওঘরিয়া পরিবারের তত্ত্বাবধানে চলছে তিন শতকের পুরনো এই ঐতিহ্যবাহী পুজো। এখনও পুজোর সমস্ত আয়োজন করে থাকেন এই দুই পরিবারের সদস্যরা। আর পুজোর চারদিন অংশগ্রহণ করেন গোটা বামুনকুলি গ্রামের মানুষ। কথিত আছে মা খুশি হয়ে দর্শন দিয়েছিলেন এখানে। পুজোর চার দিন ছাড়াও বছরে ৩৬৫ দিন পূজিতা হন মায়ের শিলা মুর্তি।
তবে বামুনকুলি গ্রামের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের প্রচীন ঐতিহ্যবাহী এই পুজোর অন্যতম আকর্ষণ ছিল তোপ। পরিবারের সদস্যদের মতে এক সময় তোপ দেগে শুরু হতো মায়ের পুজো এবং পুজোর চারদিনই তোপ দেগেই চলতো পুজো। এখনও পরিবারের কাছে রক্ষিত রয়েছে সেই দুটি ছোট্ট তোপ।
পূজার প্রতিদিনই প্রায় আট ধরনের জল ব্যবহার করে স্নান করানো হয় মায়ের প্রতিকৃতিকে। ২৩ থেকে ২৪ ধরনের পদ সহযোগে মহাসপ্তমী, মহা অষ্টমী এবং মহা নবমীতে তৈরি হয় মায়ের ভোগ। নিমন্ত্রিত থাকেন গ্রামের পঞ্চ বিষ্ণু। পাশাপাশি গোটা গ্রামের মানুষ মায়ের প্রসাদ গ্রহণ করতে ভক্তি সহযোগে জমায়েত হন মায়ের মন্দিরে।