eaibanglai
Homeএই বাংলায়বাঁকুড়ার ট্রেন দুর্ঘটনার ভয়াবহ স্মৃতিচারণ একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শীর

বাঁকুড়ার ট্রেন দুর্ঘটনার ভয়াবহ স্মৃতিচারণ একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শীর

নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া:– রবিবার ভোরে বাঁকুড়ার ওন্দা গ্রাম স্টেশনের কাছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর ইতিমধ্যেই আপলাইন এবং ডাউনলাইনে শুরু করেছে ট্রেন চলাচল। গতকাল ওই দুর্ঘটনার জেরে আদ্রা খড়গপুর লাইনে বহু ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল। যদিও রেলের তৎপরতায় দিন ঘুরতে না ঘুরতেই স্বাভাবিক ওই শাখায় ট্রেন চলাচল।

অন্যদিকে ট্রেন দুর্ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী এলাকার বাসিন্দা শ্যাম সুন্দর সিংহ, তিনিই ইঞ্জিনে আটকে পড়া লোকো পাইলট ও অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলটকে উদ্ধার করেন। এদিন তিনি জানান গতকালের সেই ভয়াবহ স্মৃতির কথা। শ্যাম সুন্দর সিংহ জানান প্রতি দিনের মতোই এদিনও ভোর পৌনে চারটে নাগাদ তিনি রেল লাইন সংলগ্ন এলাকায় প্রাতঃকৃত্য করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি শোনেন বিকট শব্দ এবং দেখেন দাঁড়িয়ে থাকা একটি মাল গাড়ির উপরে উছে যাচ্ছে চলন্ত আরেকটি ট্রেন। সংঘর্ষের জেরে চলন্ত মাল গাড়ির ইঞ্জিনটি মাটি থেকে প্রায় ১৪-১৫ ফুট উপরে উঠে যায়। দুমরে মুচড়ে যায় ইঞ্জিনটি। সেই সময় ইঞ্জিনের মধ্যেই উপস্থিত ছিলেন লোকো পাইলট ও অ্যাসিট্যান্ট লোকো পাইলট। বিষয়টি নজরে আসতেই তিনি দৌঁড়ে গিয়ে তাদের ইঞ্জিন থেকে টেনে বের করেন। শ্যাম সুন্দর সিংহ জানান তখন দুজনেই ভয়ে থর থর করে কাঁপছে। কাঁপছেন তিনিও। কারণ দুটি মালগাড়ির সংঘর্ষের জেরে তখন চারিদিকে জ্বলছে আগুন। রেলে লাইনের চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে টনটন ওজনের দৈত্যাকার দুই মাল গাড়ি ছিন্নভিন্ন লাইনচ্যুত মালগাড়ির ওয়াগান। শ্যাম সুন্দরবাবু জানান লোকো পাইলট ও অ্যাসিট্যান্ট লোকো পাইলটকে উদ্ধার করার পরই তারা সেখান থেকে চলে যান। তার ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল কর্মীরা এবং প্রায় সাড়ে চারটে নাগাদ যখন সূর্য সবে উঠছে তখন ভিড় জমাতে শুরু করেন স্থানীয়রা।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments