eaibanglai
Homeএই বাংলায়পত্রিকা গোষ্ঠীর উদ্যোগে চুঁচুড়ায় পালিত হলো গান্ধীজয়ন্তী

পত্রিকা গোষ্ঠীর উদ্যোগে চুঁচুড়ায় পালিত হলো গান্ধীজয়ন্তী

নীহারিকা মুখার্জ্জী,চুঁচুড়াঃ- এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিশিষ্ট কবি-সাংবাদিক মুরলী চৌধুরী সম্পাদিত সাহিত্য পত্রিকা গোষ্ঠী ‘বঙ্গীয় ভাষা সেতু’-র উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে গত ২রা অক্টোবর জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর ১৫৪ তম জন্মদিবস পালিত হলো হুগলির চুঁচুড়া পৌরসভার সভাগৃহে।

প্রদীপ প্রজ্বলন করে দুপুর ৩ টে থেকে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্ট অতিথিরা। পরে মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়।

সঙ্গীত, কবিতা পাঠ, আবৃত্তি, স্বাধীনতা সংগ্রামে মহাত্মা গান্ধীর ভূমিকা নিয়ে মননশীল আলোচনা ইত্যাদিতে ভরপুর অনুষ্ঠানটি প্রায় চারঘণ্টা ধরে চলে। কল্যাণী মন্ডল, শান্তাকর রায়, সরস্বতী অধিকারী, পতিতপবন হালদার প্রমুখের পরিবেশিত অনুষ্ঠান দর্শকদের মুগ্ধ করে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট শিল্পী উমাশংকর সেন।

উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হাত ধরে অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তিনটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এরমধ্যে কবি-সাহিত্যিক অন্তরা সিংহরায়ের ছিল কবিতার বই- ‘তবুও কী প্রেম বুঝেছো’, ও গল্পের বই ‘উজ্জীবন’ এবং জগন্নাথ কৈরী সম্পাদিত সাহিত্য পত্রিকা ‘কাশ পলাশ ও শিউলি।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চুঁচুড়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখার্জ্জী, আন্তরিক পত্রিকার সম্পাদিকা তথা কবি অন্তরা সিংহরায়, ডঃ সাহিদ ফারগী, কানাইলাল রায়চৌধুরী, শিবনাথ মন্ডল প্রমুখ।

অন্তরা দেবী বললেন – বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হাত ধরে যখন কোনো কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয় তখন স্রষ্টার কাছে তার অনুভূতি অন্য রকম হয়। আজ আমারও সেই অনুভূতি হচ্ছে। তার লেখা কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য তিনি উদ্যোক্তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

মুরলী বাবু বললেন – একগুচ্ছ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করতে পেরে আমি গর্বিত। আশাকরি আগামী দিনেও প্রত্যেকের সহযোগিতা পাব।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments