eaibanglai
Homeএই বাংলায়বাংলাদেশী ছাত্রীর যৌন শোষনের ঘটনায় দুর্গাপুরে শোরগোল

বাংলাদেশী ছাত্রীর যৌন শোষনের ঘটনায় দুর্গাপুরে শোরগোল

নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– সম্প্রতি বাংলাদেশী ছাত্রীকে যৌন শোষনের অভিযোগ উঠেছে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে ও বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। এমনকি রাজ্য মহিলা কমিশনও ঘটনার তদন্ত করছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে শোরগোল তৈরি হয় দুর্গাপুরের সিটিসেন্টারে সরকারি মহিলা হোস্টেল চত্বরে। যেখানে নিগৃহীতা ওই বিদেশী ছাত্রী থাকছেন। এদিন ওই ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করে বয়ান সংগ্রহ করতে পৌঁছে যান এক সমাজকর্মী কৃষ্ণ প্রসাদ। তার দাবি নিগৃহীতা ছাত্রী যেহেতু বিদেশী( বাংলাদেশী) তাই বিষয়টি দেশের সম্মানের সঙ্গে জড়িত। তাই এই বিষয়টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করতে চান তিনি। আর সেই আবেদনের জন্য ছাত্রীর বয়ানের প্রয়োজন। কৃষ্ণ প্রসাদের দাবি ছাত্রীর বয়ান নিতেই এদিন মহিলা হোস্টেলে পৌঁছন। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনও তাকে সহযোগীতার আশ্বাস দেন। কিন্তু হোস্টেল কর্মকর্তা ডাঃ চৈতালী দত্ত ওই ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি না দেওয়ায় প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে খালি হাতেই ফিরতে হয় সমাজকর্মী কৃষ্ণ প্রসাদকে।

উল্লেখ্য গত ২২ এপ্রিল রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি ডঃ দীপান্বিতা হাজারী এবং দেবযানী চক্রবর্তী দুর্গাপুরের মহিলা হোস্টেলে নিগৃহীতা ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে বিষয়টি জনসমক্ষে আসে। জানা গেছে, বাংলাদেশের রংপুরের বাসিন্দা ওই তরুণী কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্য়ালয়ে স্নাতকোত্তর বাংলা বিভাগের ছাত্রী। ছাত্রীর দাবি বাংলা বিভাগের এক সহকারী অধ্যাপকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং ওই অধ্যাপক তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন সহবাস করে। কিন্তু সম্প্রতি অন্য আর একজনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হওয়ায় তার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে নেয় ওই অধ্যাপক। অভিযোগ বিষয়টি নিয়ে সে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের দ্বারস্থ হলেও কোনও কাজ হয়নি। অবশেষে বাংলাদেশ দূতাবাসের দ্বারস্থ হয় সে। অভিযোগ পেয়েই মহিলা কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলাদেশী দূতাবাস । তাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে তদন্ত শুরু করে রাজ্য মহিলা কমিশন। অন্যদিকে দুর্গাপুর মহিলা থানাতেও একটি অভিযোগ দায়ের হয় ও অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। পরে অবশ্য তিনি জামিন পেয়ে যান।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments