eaibanglai
Homeএই বাংলায়স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির হলো রামচন্দ্রপুরে

স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির হলো রামচন্দ্রপুরে

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,ভাতাড়ঃ- এতদিন যে শব্দবন্ধনী ‘রক্তদান জীবন দান’ বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ ছিল ধীরে ধীরে সেটা কি তার সীমা ছাড়িয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করছে? দেরিতে হলেও মানুষ কি রক্তদানের গুরুত্ব বুঝতে পারছে?

২৪ শে সেপ্টেম্বর ভাতাড়ের রায় রামচন্দ্রপুর গ্রামগড়ে বাজার কমিটি ও রক্ষাকালী কমিটির পরিচালনায় এবং গুসকরা আপন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ও পূর্ব বর্ধমান জেলা ভলাণ্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরাম এর সহযোগিতায় প্রথমবারের জন্য আয়োজিত রক্তদান শিবিরে সাধারণ মানুষের উৎসাহ দেখে সেটাই মনে হওয়া স্বাভাবিক।

বর্ধমানের ক্যামরি ব্লাড সেণ্টারের সহযোগিতায় শিবির থেকে ৫০ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা হয়। রক্তদাতাদের মধ্যে দু’জন মহিলা থাকলেও আরও বেশ কয়েকজন মহিলা রক্ত দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তাদের পক্ষে রক্ত দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে তাদের যথেষ্ট বিষণ্ন দেখা যায়। সংগৃহীত রক্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়।

রক্তদাতাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য শিবিরে উপস্থিত ছিলেন বাজার কমিটির সম্পাদক অরিন্দম মজুমদার সহ
অভিজিৎ মুখার্জ্জী, তারাপদ মাজি, আপন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সম্পাদক সঞ্জীব ভট্টাচার্য ও সভাপতি অধ্যাপক শিশির ঘোষ এবং পূর্ব বর্ধমান জেলা ভলাণ্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামের পক্ষ থেকে সৌগত গুপ্ত।
রক্তদাতাদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় সংস্থার স্বেচ্ছাসেবক অন্তরা, সাথী, স্বরূপ, শুভ, শুভাশিস, অনির্বাণ প্রমুখরা। তাদের আন্তরিকতা রক্তদাতাদের মুগ্ধ করে।

বাজার কমিটির সম্পাদক অরিন্দম বাবু বললেন – এই প্রথমবারের জন্য রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা সত্ত্বেও যেভাবে আমরা এলাকাবাসীর কাছ থেকে সাড়া পেয়েছি তাতে আমরা যথেষ্ট উৎসাহি ও অনুপ্রাণিত। পরবর্তীকালে আমরা আবার রক্তদান শিবিরের আয়োজন করব।

অন্যদিকে শিশির বাবু বললেন – আমরা সংস্থাগতভাবে যেমন রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে থাকি তেমনি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলির পাশে দাঁড়াই, উৎসাহ দিই। যেমন এই সংস্থাটি মোটামুটি আমাদের উৎসাহে এই শিবিরের আয়োজন করে। তিনি অন্যান্য সংস্থাগুলিকে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার জন্য আহ্বান করেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments