eaibanglai
Homeএই বাংলায়লাভ স্টোরির হিরো হতে চান অভিনেতা প্রিয়ব চৌধুরী

লাভ স্টোরির হিরো হতে চান অভিনেতা প্রিয়ব চৌধুরী

শৈশবের মাইকেল জ্যাকসন থেকে আজ বম্বের ফিরোজ খান! লাভ স্টোরির হিরো হতে চান অভিনেতা প্রিয়ব চৌধুরী

ছোটো বেলায় সাদা কালো টিভিতে উত্তমকুমারের অভিনয় দেখতে গিয়ে তিনি বুঁদ হয়ে যেতেন, স্বপ্ন দেখতেন নিজে বড় পর্দার হিরো হওয়ার, মাধ্যমিক পরীক্ষার পর মাইকেল জ্যাকসনের ডান্স ভিডিও দেখে দেখে নিজে ডান্স শিখেছেন, এরপর বড় হওয়ার পর যখন থিয়েটারে অভিনয় করেছেন তখন তার অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন বড় বড় নির্দেশক থেকে শুরু করে রূপালী পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতারাও আর তার ডান্সের স্টেপ দেখে কেউ কেউ বলেছেন রকস্টার কেউ বা বলেছেন মাইকেল জ্যাকসনের ছোট সংস্করণ। কথা বলছি জনপ্রিয় থিয়েটার অভিনেতা প্রিয়ব চৌধুরীর বিষয়ে। বাঁকুড়ার একদম প্রত্যন্ত গ্রাম সারেঙ্গার মধ্যবিত্ত পরিবারে তার জন্ম। থিয়েটার জগতের জনপ্রিয় এই অভিনেতা আজ‌ ও স্ট্রাগল করছেন আর চেষ্টা করছেন ছোটো পর্দার হিরো হওয়ার।

ছোট থেকে আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে বড় হয়ে ওঠা এই অভিনেতা কলকাতাতে এসেই প্রথম ভালো বাংলা বলতে শেখেন, আর আজ নিজস্ব দক্ষতায় তিনি গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে হিন্দি নাটক করছেন। গৌরব দাস পরিচালিত লেটার্স নাটকে তার অভিনীত ফিরোজ খান চরিত্রটি ভীষণ জনপ্রিয়। থিয়েটার দেখে বেরিয়ে এসে পথ চলতি মানুষ তার অভিনয় দেখে বলেন,“ফিরোজ ভাই ত একদম হিরো মেটেরিয়াল” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নির্দেশক বলেন,“চরিত্রকে জীবন্ত করে তোলে প্রিয়ব, তবে খারাপ লাগে যখন দেখি, ছেলেটা আজ‌ও স্ট্রাগেল করছে, অথচ ছোটপর্দায় লিড করার মতো যোগ্যতা আছে” জনপ্রিয় সেই থিয়েটার অভিনেতা প্রিয়ব আজ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সঙ্গীতা চৌধুরীকে।

১। অভিনয় জগতে আসার অনুপ্রেরণা কোথা থেকে পেলেন ?

প্রিয়ব চৌধুরী:- আমি যখন স্টেজ থেকে ডান্স করে নামতাম তখন সবাই আমাকে মুগ্ধ হয়ে দেখতো, আমার নাচের প্রশংসা করতো, এটাই আমার অভিনয় জগতে আসার পথে প্রথম ইনস্পিরেশন ছিলো,এছাড়া আমার ফ্যামিলি বরাবরই কালচারাল,আমার দাদু যাত্রা করতেন আমার বাবাও যাত্রা করেছেন। আমার কাকু একজন সফল থিয়েটার অভিনেতা ছিলেন তাই অভিনয়টা আমার রক্তেই ছিল বলা যায়।

২। অভিনয় কি কোথাও থেকে শিখেছিলেন ?

প্রিয়ব চৌধুরী:- প্রথমে এসে যেমন হয় সবার সেরকম আমিও একটা চিটিংবাজের পাল্লায় পড়েছিলাম । তারপর একটা ওয়ার্কশপ করতাম প্রায় তিন বছর। তারপর আমি আমার প্রথম সিরিয়াল জগৎ জননী মা সারদা তে কাজ পাই, এর পাশাপাশি থিয়েটার ও করতে থাকি। আমি অনেকগুলো দলেই কাজ করেছি। বর্তমানে সন্তোষপুর অণুচিন্তন নামে একটি দলে অভিনয় করি।

৩। অভিনয় জগতে আপনার গুরু ?

প্রিয়ব চৌধুরী:- অভিনয়ে জগতে আমি গুরু হিসেবে কাউকে বলবো না । আমাদের পথ চলার মাঝে কেউ কেউ হয়তো আমাদেরকে সঠিক ডিরেকশন টা দেখায়। কিন্তু কাজটা আমাদেরকেই করতে হয়। তাই সে দিক থেকে বলতে হয় যে আমি কাজ করতে করতে শিখেছি শিখছি এবং শিখবো, প্রতি মুহূর্তে আমি শিখি । আমার এক্সপেরিমেন্ট করতে খুব ভালো লাগে আর থিয়েটারে আমি সেটা করি।”

৪। থিয়েটারে লেটার্স ছাড়া আর আপনি কী কী কাজ করেছেন ?

প্রিয়ব চৌধুরী:- আমি চার থেকে পাঁচটা টোটাল দলে কাজ করেছি । বর্তমানে সন্তোষপুর অণু চিন্তন বলে একটি দলে কাজ করছি,এখানে মেনলি আমি হিন্দি থিয়েটার করি। আমার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলি হল ” কিষাণ রাজ” ” কাবুল কে পারিন্দে ” ” ঘর” ” Letters to the unborn children of fatema jahan” …

৫। আপনার স্বপ্নের কোনো চরিত্র ?

প্রিয়ব চৌধুরী:- বিভিন্ন ধরনের, বিভিন্ন শেডের চরিত্র আমি করতে চাই তবে স্বপ্নের চরিত্র যদি বলেন কোনো রোমান্টিক হিরোর ক্যারেক্টার করার ইচ্ছা আছে।

৬। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে হয়ে যে অভিনয়ের মতো একটা অনিশ্চিত পেশা বেছে নিলেন বাবা-মা বাধা দেন নি ?

প্রিয়ব চৌধুরী:- হ্যাঁ প্রথমে তো বাধা দিয়ে ছিলেন, কিন্তু যখন আমি প্রথম মেগা সিরিয়ালটা করি আর সেটা দুই বছর ধরে চলে তখন থেকেই আমার উপর একটু বিশ্বাস তৈরি হয় তাদের আর ওনারা সেই সময় থেকেই আমাকে সাপোর্ট করতে শুরু করেন।

৭। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে কোথাও অপমানের শিকার হয়েছেন ?

প্রিয়ব চৌধুরী:- হ্যাঁ অপমানিত হয়েছি, যখন প্রথম মেগা সিরিয়াল করতাম তখন এত কথা শুনতাম যে রাতের পর রাত ঘুমোতে পারতাম না লাইট ম্যান, বুম ম্যান এরাও ঠাট্টা করতো, ইনসাল্ট করতো, পরে অবশ্য কাজ করতে করতে সবার সাথে ভালো সম্পর্ক হয়ে যায়। ইনসাল্ট বলতে একজন সিরিয়ালের প্রডিউসারকে আমি একবার বলেছিলাম যে ,‘আমি হিরো হতে চাই দাদা।’ উনি আমাকে ঠাট্টা করে বলেছিলেন যে,‘ আমিও ইন্ডিয়া টিমের ক্যাপ্টেন হতে চাই।’ কথাটা আমার খুব খারাপ লেগেছিলো। কিন্তু আমি ওনাকে বলি যে, দাদা আমি একদিন হিরো হবো আর তোমাকে প্রণাম করে তোমার আশীর্বাদ নিয়ে যাবো।- আমি আশা রাখি দর্শকের ভালোবাসা থাকলে খুব শীঘ্রই সেই দিনটাই পৌঁছাবো।

৮। জগৎ জননী মা সারদার প্রেমানন্দ মহারাজ তো বিখ্যাত এছাড়া আর কী কী কাজ করেছিলেন ?

প্রিয়ব চৌধুরী:- মো এর বাড়ি, মিঠাই, বৌ রানীর হাট এগুলোতে কাজ করেছি।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments